Posts

Showing posts from October, 2021

ভালবাসা একটা অনুভবের একটা বিশ্বাসের বিষয়

Image
কোন এক দম্পতি নিজেদের বিবাহ বার্ষিকীতে ফজরের নামাজ শেষ করে ভোর বেলা দুজনে মিলে বারান্দায় বসে গরম চায়ের কাপ হাতে কিছু মধুরতাপূর্ণ গল্প করছেন। শুরুটা হয়তো বা দুজনের জীবনের কোন এক কঠিন বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে, কিন্তু পরের অংশটা কেবলই হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার গল্প … – কিছু মানুষকে আল্লাহ কিছু বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান আর সাথে দেন অনেক বেশি কষ্ট এবং সেই কষ্ট সহ্য করার মত সামর্থ্যটাও! – আর কিছু মানুষকে আল্লাহ তোমার মত মানুষের মন বুঝার ক্ষমতা দিয়ে পাঠান, আর কিছু মানুষকে করে দেন আমার মত এত বেশি ভাগ্যবান যাদের জীবন সঙ্গিনী তোমার মত একটা মেয়ে হয়! – আমার জন্য তুমি ভাগ্যবান নও, তোমার কপালে যা আছে তাই হচ্ছে…! – আমি তোমার হাতটি ধরে সারাটি জীবন পাশে হাঁটতে চাই, তোমার সব কষ্ট গুলোকে আমার করে নিয়ে আমার সূখ গুলোকে তোমার মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই… বিনিময়ে চাই শুধু তোমার একটু ভালবাসা! – তোমার এই চাওয়া পূরণ করতে আমি আমার জীবন দিতেও রাজি! – আমার জন্য তোমার জীবন দিতে হবে না, শুধু জীবনটা যতদিন আছে ততদিন তোমার মনটা আমার কাছে দিয়ে রেখো! – আজকের মত এমন কোন এক সকালে তোমার আর আমার মাঝে ঠিক এই ভাবে কথা হয

‘দ্য উইন্টার’স টেল’ উইলিয়াম শেকসপিয়র

Image
সিসিলির রাজা লিওন্টেস তাঁর সুন্দরী সতীসাধ্বী রানি হারমায়োনিকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছিলেন। লিওন্টেস তাঁর এই মহতী রানিটিকে খুবই ভালবাসতেন। জীবনে তাঁর কিছুরই অভাব ছিল না। কেবল মাঝে মাঝে বাল্যবন্ধু তথা সহপাঠী বোহেমিয়ার রাজা পলিজেনাসকে আরেকবার দেখার এবং তাঁকে স্ত্রীর সামনে উপস্থিত করার ইচ্ছে জাগত লিওন্টেসের মনে। দু’জনে একসঙ্গে বড়ো হয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর উভয়কেই নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে রাজকার্য হাতে তুলে নিতে হয়। তাই অনেকদিন তাঁদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ ছিল না। তবে ঘন ঘন তাঁরা পরস্পরের মধ্যে উপঢৌকন, চিঠিপত্র ও রাজদূত আদানপ্রদান ঠিকই করতেন। অনেক অনুরোধের পর অবশেষে একদিন বোহেমিয়া থেকে সিসিলির রাজসভায় এসে লিওন্টেসের সঙ্গে দেখা করলেন পলিজেনাস। তাঁর আগমনে লিওন্টেস তো দারুণ খুশি হলেন। রানির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন ছেলেবেলার বন্ধুর। তাঁর সুখ যেন পূর্ণতা লাভ করল প্রিয় বন্ধুর মিলনে। তাঁরা পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করতে লাগলেন। হারমায়োনিকে বলতে লাগলেন তাঁদের পাঠশালার কথা, তাঁদের ছেলেবেলার দুষ্টুমির কথা। হারমায়োনিও তাঁদের কথা শুনে খুব আনন্দ পেলেন। এইভাবে বেশ কিছুদিন কাটিয়ে পলিজেনাস ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করলেন।

শার্লক হোমস: ‘দি অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য নোবল ব্যাচেলার’

Image
লর্ড সেন্ট সাইমনের বিয়ে এবং তারপরেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অদ্ভুত কাহিনি অনেকের কাছেই এখন বাসি হয়ে গিয়েছে। নিত্যনতুন কলঙ্ক কাহিনি রটছে, চার বছর আগেকার ব্যাপারটা আর তেমন আগ্রহ জাগায় না। বিচিত্র এই রহস্য ভেদে কিন্তু শার্লক হোমসের একটা বড়ো ভূমিকা ছিল। আমার বিয়ের কয়েক হপ্তা আগের ঘটনা। ঝড়বাদলার মাতামাতি চলছে বাইরে। জিজেল বুলেটে আহত প্রত্যঙ্গ টনটনিয়ে উঠছে—বহু বছর আগে আফগান লড়াইয়ে জখম হয়েছিলাম–কিন্তু মাঝে মাঝে ব্যথাটা বেশ চাগাড় দিয়ে ওঠে। চেয়ারে পা তুলে একরাশ খবরের কাগজ আর হোমসের নামে আসা এক বান্ডিল চিঠি নিয়ে বসে ছিলাম। একটা লেফাফার ওপর সিলমোহর আর মনোগ্রাম লক্ষ করার মতো। ভাবছিলাম খানদানি পত্ৰলেখকটি কে হতে পারে। এমন সময়ে বৈকালিক ভ্রমণ সাঙ্গ করে বাড়ি ফিরল  শার্লক হোমস । খামটা হাতে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে ভেতরের চিঠিতে চোখ বুলিয়ে বললে, ওহে, কেস খুব ইন্টারেস্টিং! সামাজিক ব্যাপার নয় তাহলে? একেবারেই না। পেশার ব্যাপার। খানদানি মক্কেল নিশ্চয়? ইংলন্ডের উঁচু মহলে যে কজন আছেন, তাঁদের একজনের চিঠি। বল কী হে! অভিনন্দন রইল। ওয়াটসন, মক্কেলের সমস্যাটাই আমার কাছে বড়ো–তার সামাজিক প্রতিপত্তি নয়। কাগজ তো পড়, লর্ড সেন্ট সাইমনের