ভৌতিক গল্প: ‘অন্ধকার রাত্রি’
তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। হলে থাকি। একদিন খবর পেলাম চাচার অবস্থা খুবই সিরিয়াস। আব্বা ফোন করে বললেন, ওনারা সবাই খুলনা থেকে রওয়ানা হয়ে গেছেন। আমি যেন এখুনি রওয়ানা হই। আমাকে যেতে হবে সেই বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। তখন সকাল দশটা বাজে। আমার একাউন্টে বেশ কিছু টাকা জমা ছিল। বিপদে আপদে কাজে লাগবে বিধায় আব্বাই পাঠিয়েছিলেন। সব টাকা তুলে নিলাম। বটতলী রেল স্টেশন থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন রয়েছে। বিকেল পাঁচটায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু ততোক্ষণ অপেক্ষা করতে ইচ্ছে হল না। বি,আর,টি,সি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে চাদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। ছ’ঘন্টা লাগলো চাঁদপুর পৌঁছাতে। এরপর বরগুনা গামী একটি লঞ্চে কেবিন না পেলেও ডেকে শুয়ে বসে রওয়ানা হলাম। তখন আজকের মত মোবাইলের যুগ না। সময় ১৯৯৩ ইং সাল। চাচার অবস্থা জানার জন্য মনটা উদগ্রীব হয়ে থাকলেও কিছু করার ছিল না। তখন শীতকাল। শীতের পোষাকে নিজেকে ভালোমত জড়িয়ে নেবার পরও লঞ্চে বেশ ঠান্ডা লাগছিল। মূল ঠান্ডাটা ধাতব ডেকের থেকেই আসছিল। আমি ভাবছিলাম কিভাবে পথ চিনে বাড়িতে পৌঁছাব। বেশ আগে গিয়েছিলাম। তাও আব্বার সাথে। এখন কি সে